চট্টগ্রামে কলেজ থেকে আটক করে ছাত্রলীগের দুই সদস্যকে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা
নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখার দুই সদস্যকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দুজন কলেজ প্রাঙ্গণে এলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আটক করে পুলিশে দেন। পুলিশ তাঁদের আটক করে চকবাজার থানায় নিয়ে যায়।
ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মী হলেন মহসিন কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিল হাসান ও একই বর্ষের ইসরাত জাহান। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহসিন কলেজ শাখার প্রধান সমন্বয়ক এ জি এম বাপ্পি। তিনি বলেন, তানজিল হাসান ছাত্রলীগের কলেজ শাখার যুগ্ম সম্পাদক ও ইসরাত জাহান ছাত্রলীগের নেত্রী ছিলেন। তাঁরা দুজনই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
এ জি এম বাপ্পি বলেন, ‘ওই দুজন আজ কলেজে এসেছিলেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আটক করে আমাকে ফোন করেছিলেন। এরপর তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কাউকে মারধর করা হয়নি।’
ছাত্রলীগের দুই সদস্যকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মো. কামরুল ইসলাম বলেন, তিনি শিক্ষাবোর্ডে একটা সভায় এসেছিলেন সকালে। ঘটনাটি তিনি জানেন না। উপাধ্যক্ষ বেণু আরা বেগমের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। একই বিষয়ে বেণু আরা বেগম দাবি করেন, কলেজ প্রাঙ্গণে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
তবে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বেলা একটায় প্রথম আলোকে বলেন, আটক দুজনের বিষয়ে তাঁরা তথ্য যাচাই-বাছাই করছেন। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে গতকাল দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে ছাত্রলীগের নগর কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ইছমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে চাদগাঁও থানা-পুলিশ। নগরের চাদগাঁওয়ের ফরিদারপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে ১৭ নভেম্বর গভীর রাতে নগরের প্রবর্তক মোড়ে ঝটিকা মিছিল করে ছাত্রলীগ। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিছিলে অংশ নেওয়া দুই নেতা-কর্মী দিদারুল আলম ও মো. সজীবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।