আবু সাঈদসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা

আবু সাঈদসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মৌন মিছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

আবু সাঈদসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকেরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তুহিন ওয়াদুদ, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান, একই বিভাগের শিক্ষক ফারজানা জান্নাত প্রমুখ।

আবু সাঈদসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার বিকেলে
ছভি: প্রথম আলো

এ সময় শিক্ষকেরা বলেন, আগামী শনিবার দুপুরের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে পুলিশের দায়ের করা এফআইআর না পাল্টালে ওই দিন বিকেলে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

শিক্ষকেরা আরও বলেন, জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে জনগণের বেতনভোগী কর্মচারীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গুলি করল, হত্যা করল। আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে রাতারাতি পুলিশ তাকে রাতের মধ্যেই দাফন করার জন্য উঠেপড়ে লাগল। এমনকি পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তারা লাইন দিয়ে পুলিশের হেফাজতে আবু সাঈদের মরদেহ নিয়ে গেছে। এ রকম অবিচার, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল পাকিস্তান শাসন আমলে।

শিক্ষকেরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখেছিলাম, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এ দেশের পুলিশ কী অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পুলিশ আর এখানকার সময়ের পুলিশের কত পার্থক্য।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষকেরা একটি মৌন মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।