আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে গেল ৭ হাজার ৩০০ কেজি ইলিশ
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ইলিশের প্রথম চালানে ছয়টি ট্রাকে করে মোট ৭ হাজার ৩০০ কেজি মাছ প্রতিবেশী দেশটিতে গেছে।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান। তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মাছ রপ্তানি হচ্ছে। মাছের চালানের কাগজপত্র সঠিক পাওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পরই ট্রাকবোঝাই ইলিশ মাছ আখাউড়া বন্দর থেকে ভারতের আগরতলা বন্দরে পাঠানো হয়েছে।
প্রথম দিনে ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজি আকারের ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার (১ হাজার ১৯০ টাকা) দরে ভারতে রপ্তানি করেছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান স্বর্ণালি ট্রেডার্স ও বিডিএস করপোরেশন। এগুলো আমদানি করেছে ভারতের আরজে ইন্টারন্যাশনাল ও হীনপ্যাক্ট ইন্টারন্যাশনাল কলকাতা নামের দুটি প্রতিষ্ঠান।
আখাউড়া কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা যায়, রপ্তানির প্রথম চালানে গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা ও পরে বিকেলে ইলিশবোঝাই ট্রাকগুলো আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছায়। এরপর কাস্টমস, মৎস্য কোয়ারেন্টিন ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এগুলো ভারতের আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। বন্দরটি দিয়ে প্রায় ২০০ টন মাছ রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই রপ্তানি কার্যক্রম চলছে। আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি শেষ করার শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া জানান, গতকাল প্রথমবারের মতো ৭ হাজার ৩০০ কেজি ইলিশ মাছ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে গেছে। এখন থেকে প্রতিদিনই মাছ যাবে।
চলতি বছর ভারতে রপ্তানির জন্য ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মোট ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন এবং একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।