জলঢাকা পৌর উপনির্বাচনে বিএনপি নেতার পক্ষে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ
নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরীর পক্ষে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী নাসিব সাদিক গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জলঢাকা পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র। আর সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক।
নাসিব সাদিকের লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়, নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরীর (রেলইঞ্জিন প্রতীক) পক্ষে বিভিন্ন মাধ্যমে ভোটারদের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে তাঁর (নাসিব সাদিক) কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারও পক্ষ অবলম্বন করার প্রশ্নই আসে না। সরকার চাচ্ছে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সেখানে জামায়াত-বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ইতিমধ্যে তারা দল থেকে বহিষ্কারও হয়েছে। আমি নির্বাচনী এলাকায় থাকি না। অনেকে আমার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। কেউ কথা বললে আমাকে কথা বলতে হয়। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কথা আমি কারও সঙ্গে বলিনি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ২০ জানুয়ারি জলঢাকা পৌরসভার মেয়র মো. ইলিয়াস হোসেন মারা যান। পরে মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপনির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন জলঢাকা উপজেলা বিএনপি নেতা ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. ছাদের হোসেন (মুঠোফোন প্রতীক) ও সাবেক মেয়র প্রয়াত ইলিয়াস হোসেনের ছেলে নাসিব সাদিক (নারকেল গাছ)।