সরকার আন্তরিক হলে আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব: খন্দকার মোশাররফ

কুমিল্লায় বিএনপির বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন আন্তরিক হলে আগামী ডিসেম্বর মাসের আগেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের দিন-তারিখ ঠিক করে দিলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হলে ছোটখাটো ষড়যন্ত্র সহ্য করবে না। অতীতেও সহ্য করেনি, ভবিষতেও সহ্য করবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন আন্তরিক হলে আগামী ডিসেম্বর মাসের আগেই একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। তা করা গেলে এই সরকার এবং সাধারণ মানুষের জন্য মঙ্গলজনক হবে।’

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা নগরে বিএনপির বিজয় দিবসের শোভাযাত্রার শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরের কান্দিরপাড় এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ওই সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছেন উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাশা করে এই সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন ব্যবস্থা করে দেবে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিলে জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। নির্বাচিতরা এ দেশের সার্বভৌমত্বকে আরও শক্তিশালী করবে, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। এ দেশের মানুষও চায় এই সরকার একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী করবে। বিএনপির নেতা–কর্মীদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জসিম উদ্দিন, মহানগরের সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা প্রমুখ।

সমাবেশে জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়, যা নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আরও পড়ুন