জলাবদ্ধতার কারণে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেন। এ ছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাস চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত, সংগীতসহ চারটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে শ্রেণি কার্যক্রমও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদ স্টেশনে রেললাইন থেকে প্রায় তিন ফুট উঁচু পানি জমে আছে। ফলে নগর থেকে ছেড়ে আসা সকাল সাড়ে ৭টা ও ৮টার শাটল ক্যাম্পাস পর্যন্ত আসতে পারেনি। দুটি ট্রেনই ওই স্টেশনে আটকে আছে। জলাবদ্ধতা দূর হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে শাটল ট্রেন চট্টগ্রাম নগর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে দৈনিক সাতবার যাওয়া–আসা করে। তাই শাটল চলাচলের ওপরই নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ অথবা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ বলেন, শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছাড়া পরীক্ষা না নেওয়ার ব্যাপারে বিভাগগুলোকে বলা হয়েছে। তবে ক্লাসের ব্যাপারে আলাদা কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
চার বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষ, মার্কেটিং বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টার, সংগীত বিভাগের স্নাতকোত্তর এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তরের একটি কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। তবে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে না আসায় এ চার বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণিত বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি তুনাজ্জিনা সুলতানা, সংগীত বিভাগের সভাপতি সোমেনজিৎ চক্রবর্তী, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বাস চলাচলে বিলম্ব
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাস চলাচল। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম।
বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। সময় মতো বাস না আসার কারণে তিনি ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না।
পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির কারণে এসি বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নন–এসি বাসগুলো চলাচল করছে। তবে রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।