মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, আছে ঝলমলে রোদও

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আছে ঝলমলে রোদ। সকালের মিষ্টি রোদে খেলা করছে দুই শিশু। ছবিটি সকাল সাড়ে আটটায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাহানপাড়া এলাকারছবি: প্রথম আলো

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা তিন দিন ধরে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। উত্তরের এই জনপদে দিন দিন নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়ায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে গত কয়েক দিন ঘন কুয়াশা কেটে সকাল সকাল ঝলমলে রোদের দেখা মিলছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, টানা তিন দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এ ছাড়া আজ সকালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশা কমে গেছে। আকাশও মেঘমুক্ত। কুয়াশা কমে যাওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাস সহজেই তেঁতুলিয়ায় প্রবেশ করছে। এ জন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে দিনের বেলা রোদ থাকায় মানুষের মধ্যে স্বস্তিও মিলছে।

এর আগে বুধবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এবার হেমন্তের শুরু থেকেই উত্তরের এই জনপদে শুরু হয়েছিল শীতের আবহ। বর্তমানে দিনভর ঝলমলে রোদ থাকায় দিনে গরম অনুভূত হলেও বিকেল হতে না হতেই শুরু হচ্ছে শীতের অনুভূতি।

হিমালয়ের কোল ঘেঁষে অবস্থিত পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবছরই শীত আসে কিছুটা আগেভাগে। আর শীত বিদায়ও নেয় কিছুটা দেরিতে। শীতের এই মৌসুমে হিমালয় থেকে বয়ে আসা উত্তরের বাতাসে শীতল হয়ে যায় পুরো জেলা। বর্তমানে হেমন্তের শেষ দিকে এসে এই জেলার বাসিন্দাদের সন্ধ্যা নামলেই পরতে হচ্ছে শীতের কাপড়। রাতে ঘুমাতে হচ্ছে লেপ-কম্বল মুড়িয়ে।

আজ সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল সকাল ঝলমলে রোদ ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই কাজে বের হয়েছেন সাধারণ মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তীব্রতা।