চলচ্চিত্র সংস্কৃতির আরও একটি নতুন রূপ: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
সংস্কৃতি সর্বদাই পরিবর্তনশীল। এটা একেক সময় একেক রূপে দেখা যায়। আর্টফিল্ম বা সব ধরনের চলচ্চিত্র যা–ই বলি না কেন, এটি সংস্কৃতির আরও একটি নতুন রূপ। এটাও সব সময় পরিবর্তনশীল।
আজ শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ নগরের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে ইউরোপিয়ান আর্ট হাউস সিনেমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায়। মহুয়া গীতিনাট্যের মধ্য দিয়ে বেলা ১১টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত ৯টায়। এতে পাঁচটি সিনেমা প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে একটি বাংলা।
প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান আর্ট হাউস সিনেমা দিবস বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার হাত ধরে ইউরোপিয়ান আর্ট হাউস সিনেমা দিবসের নবম আসরের সহযাত্রী হয়েছে বাংলাদেশ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘মানবজাতি যা কিছু সৃষ্টি করেছে, সবকিছুই কালচার। হতে পারে সেটা কোনো দৃশ্যমান বস্তু, কোনো প্রথা বা মানবিক বিশ্বাস। বৃহৎ পরিসরে বলা যায়, প্রকৃতি প্রদত্ত মানুষ যেটা নিজের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে বা পেয়েছে, সেটাও সংস্কৃতি। ওই সংস্কৃতিকে আয়ত্ত করাই হচ্ছে শিক্ষা। সংস্কৃতির একটি ঐতিহাসিক জায়গা বৃহত্তর ময়মনসিংহ। এই উপমহাদেশের মধ্যে সত্যজিৎ রায়ের মতো আমাদের দেশের অনেক সাংস্কৃতিক গুণী মানুষ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছেন।’
উপদেষ্টা বলেন, চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির উচ্চতায় ফ্রান্স বিশ্বের দরবারে অনেক এগিয়ে। ফরাসি বিপ্লব, ঐতিহাসিক আন্দোলন, এসব পৃথিবীর বুকে স্মরণীয়। আমাদের সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র ফ্রান্সসহ বিশ্বের দুয়ারে পরিচিতি লাভ করলে এটা আমাদের জন্য পরম পাওয়া ও আনন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। ইউনেসকো, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ চলচ্চিত্রের সেই জায়গাগুলোতে বাংলাদেশের আর্টফিল্মকে তুলে ধরা নিঃসন্দেহে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আরও একটি ধাপ। সংস্কৃতির বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই, ইউনেসকোর বাংলাদেশের হেড অফিস ও কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ সুসান ভাইজ, রেঞ্জ ডিআইজি মো. আশরাফুর রহমান, কালচারাল অ্যাকটিভিস্ট ও লেখক প্রদীপ চন্দ্র কর।