পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তাকে আসামি করে ঢাকার খিলক্ষেত থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলাটি করা হয়। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন) মো. আরশাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন। গত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের মদদে বিদ্যুৎ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
মামলার আসামিরা হলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুন্সিগঞ্জের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার উপমহাব্যবস্থাপক দীপক কুমার সিংহ ও জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন, নেত্রকোনার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মনির হোসেন, বরিশালের মহাব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির, নোয়াখালী সমিতির ওয়্যারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, মাগুরার উপমহাব্যবস্থাপক মো. রাহাত, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবদুল হাকিম ও ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন।
গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সমিতির ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন সমিতির কর্মচারীরা। এতে জেলায় জেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিলেন গ্রামের মানুষ। সারা দেশেও বিদ্যুৎ বন্ধের শঙ্কা তৈরি হয়।
আরইবির অধীন কাজ করে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। দেশের মোট বিদ্যুৎ সরবরাহের ৫৫ শতাংশ আরইবির অধীন। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে মুক্তিকামী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যানারে এ আন্দোলন হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বলা হয়েছে, ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। না হলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।