মাদারীপুরে বিস্ফোরণে একজন নিহত, আহত ২
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অপর দুজন। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চরদৌলতখান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডিমচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, বোমা তৈরি করার সময় বিস্ফোরণে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, আগুনে পুড়ে দগ্ধ এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। তবে ওই ব্যক্তি কীভাবে দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
নিহত ব্যক্তির নাম মোদাচ্ছের শিকদার (৫০)। তিনি বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা এলাকার মৃত মোসলেম শিকদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। এ ঘটনায় আহত দুজন হলেন চরদৌলতখান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডিমচর এলাকার হারুণ ঢালী (৪০) ও দাদন ঢালী (৩৮)।
চরদৌলতখান এলাকার বাসিন্দা আবদুল রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর জন্য হাতবোমাগুলো তৈরি করা হচ্ছিল। এলাকার অনেক বাড়িতেই এই বোমা তৈরি করা হয়। বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে এর আগেও কয়েকজন মারা গেছেন।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি বোমা বিস্ফোরণ কি না, আমরা এখনো নিশ্চিত নই। মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেলে যেমন হয়, নিহতের শরীরেও তেমনই দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর আসল কারণ।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরদৌলতখান ইউনিয়নের ডিমচর এলাকার ইউনুস সরদারের বাড়িতে বসে হাতবোমা তৈরির কাজ করছিলেন মোদাচ্ছের শিকদার ও তাঁর সহযোগীরা। বোমা তৈরির সময় মোদাচ্ছেরের হাতে হঠাৎ একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিকট শব্দ হলে ওই বাড়িতে জড়ো হন স্থানীয় লোকজন। দগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মোদাচ্ছের মারা যান। পরে তাঁরা চরদৌলতখান এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে একটি জমিতে মোদাচ্ছেরের লাশ ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ওই জমি থেকে মোদাচ্ছেরের লাশ বেলা একটার দিকে উদ্ধার করে কালকিনি থানা-পুলিশ। পরে নিহত মোদাচ্ছেরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুরের ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও কালকিনি সার্কেল) মো. আলাউল হাসান বলেন, নিহত মোদাচ্ছের শিকদারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে যাওয়ার ক্ষত রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।