তেঁতুলিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, ৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে একই পরিবারের তিনজনসহ চার বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের সুকানী সীমান্তের ৭৪০ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব–পিলার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন সুকানী বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার দিলীপ কুমার বাদী হয়ে নয়জনের নামে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা ও সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়। একজন কিশোরী (অপ্রাপ্তবয়স্ক) হওয়ায় তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্য চারজনকে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ধোন্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা মনিরাম বর্মণ (৫২), তাঁর স্ত্রী হীরা রানী বর্মণ (৩৫), তাঁদের ছেলে (প্রথম স্ত্রীর) রিপন বর্মণ (২১) এবং একই এলাকার বীরেন্দ্রনাথ বর্মণর ছেলে নিমাই চন্দ্র বর্মণ (২১)।
গতকাল রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বিজিবির সুকানী বিওপির আওতাধীন ৭৪০ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব–পিলারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মদনবাড়ী ক্যাম্পের টহল দল তাঁদের দেখতে পেয়ে বাধা দেন এবং বিজিবিকে অবগত করেন। খবর পেয়ে বেলা তিনটায় বিজিবির সুকানী বিওপির টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন।
বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, ভারতে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি দালাল চক্রকে নগদ এক লাখ টাকা দিয়ে ওই দালাল চক্রের মাধ্যমে তাঁরা সীমান্তবর্তী এলাকায় এসেছেন। এ সময় তাঁদের কাছে পাওয়া ৪টি মুঠোফোন, ২টি হাতঘড়ি, বাংলাদেশি নগদ ১৪ হাজার ৭০৭ টাকা, ভারতীয় ৪০৫ রুপি, ১ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ৭ ভরি রৌপ্যালংকার জব্দ করা হয়।
আজ সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত কবির মুঠোফোনে বলেন, ৯ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং এতে সহায়তার অভিযোগে একটি মামলা করেছে বিজিবি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চারজনকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।