পলাশবাড়ী খাদ্যগুদাম থেকে ২০০ মেট্রিক টন চাল–গম উধাও
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় ২০০ মেট্রিক টন চাল ও গম উধাও হয়ে গেছে। বিভাগীয় তদন্তের পর এই ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
ওই ঘটনায় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানা ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা ৩ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। গত ১৭ মে পর্যন্ত ওই গুদামে ৩ হাজার ৪৮১ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুত ছিল। ওই সময় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন আবদুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকী।
নিয়মিত গুদাম পরিদর্শনের অংশ হিসেবে ১৭ মে ঢাকা থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. সাখাওয়াত হোসেন গাইবান্ধায় আসেন। তিনি গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমানকে নিয়ে পলাশবাড়ী খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি গুদামে মজুত রাখা চাল ও গমের বস্তার হিসেবে গরমিল দেখতে পান। বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয় গাইবান্ধার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাকিব রেজোয়ানকে। কমিটি ৩ জুন পর্যন্ত তদন্ত করে। তদন্তে ১৯৯ দশমিক ৭৬৮ মেট্রিক টন চাল ও গম ঘাটতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে চাল ১৩১ দশমিক ১৯৫ মেট্রিক টন এবং গম ৬৮ দশমিক ৫৭৩ মেট্রিক টন। যার মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ টাকা। এরপর ২১ মে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীকে অন্যত্র বদলি করা হয়।
ওই ঘটনায় গত মঙ্গলবার পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। পলাশবাড়ী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে চাল–গম আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। পলাশবাড়ী থানার ওসি আজমিরুজ্জামান বলেন, মামলাটি তদন্ত করবে দুদক।
এ বিষয়ে জানতে পলাশবাড়ী খাদ্যগুদামের অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুদক ঘটনাটি তদন্ত করবে। এ ছাড়া বিভাগীয় তদন্ত চলমান রয়েছে।