টেকনাফে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবি, ১০ জনের লাশ উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে ঢেউয়ের কবলে নৌকা ডুবির ঘটনায় উদ্ধার করা লাশ সৈকতে ঢেকে রাখা হয়েছে কাপড় দিয়ে। আজ সকাল নয়টায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নে রাজারঘাট এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে ঢেউয়ের কবলে পড়ে রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া এলাকার কাছে বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়। পরে অনেকে সাঁতরে কূলে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এ পর্যন্ত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া ঘাট এলাকা থেকে ১০ নারী-পুরুষ ও শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন নারী, দুজন পুরুষ ও একজন শিশু রয়েছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

সাঁতরে তীরে উঠে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই নৌকায় ২৯ জনের মতো রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল। নৌকাটি উপকূলে ভেড়ানোর সময় উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে উল্টে যায়। এতে কিছু লোক সাঁতরে উপকূলে উঠতে পারলেও অনেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে জোয়ারের পানিতে তাঁদের লাশ ভেসে আসে।

টেকনাফ সদরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়া বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকেরা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, আজ ভোররাতের পর ওপার থেকে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে মর্টার শেল, শক্তিশালী গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণের শব্দে এ পারের বাড়িঘর কাঁপছে। মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও সে দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন।