সাভার ও ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ১৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা
ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাস প্রদান, শ্রমিক নিয়োগসহ নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ রোববার সকালে শ্রমিক ও চাকরিপ্রত্যাশীরা এই কর্মসূচি শুরু করেন। পরে সেখানকার অন্তত ১৫টি তৈরি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আজ সকাল ৯টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে জিএবি লিমিটেড ও আশেপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। নরসিংহপুর এলাকায় নাসা গ্রুপের শ্রমিকেরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে হা-মীম গ্রুপের কারখানাসহ বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এসব কারখানার শ্রমিকরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে শিল্পাঞ্চল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিএবি লিমিটেডের এক শ্রমিক বলেন, কারখানার খাবারের মান ভালো নয়। ওভারটাইম ও হাজিরা বোনাস দেয় না। যখন–তখন শ্রমিক ছাঁটাই করা। গত বৃহস্পতিবার তাঁরা এ সব বিষয়ে কারখান কর্তৃপক্ষকে সমাধান করতে বলেন। কিন্তু দাবি না মেনে আজ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাঠগড়া এলাকার একটি শিল্প গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি।’
এদিকে আজ সকাল থেকে ধামরাই উপজেলার ঢুলিভিটা এলাকায় স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ সিভি জমা নেওয়া শুরু করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ছাড়া একমি কনজ্যুমারস লিমিটেডের শ্রমিকেরা এগ্রোভেট ও কনজ্যুমার ফার্মার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা, ফার্মার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সব সুযোগ–সুবিধা প্রদান, দৈনিক শ্রমিকদের চাকরির বয়স ছয় মাস হলে তাঁদের ক্যাজুয়েল এবং এক বছর হলে স্থায়ী করাসহ ১৬ দফা দাবি জানিয়ে প্রতিষ্ঠান চত্বরে বিক্ষোভ করেন।
আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা নানা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। একেক জায়গায় একেক রকম দাবি। কিছু যৌক্তিক দাবি রয়েছে। যেমন হাজিরা বোনাস, টিফিনের টাকা, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা। ধামরাইয়ে স্নোটেক্স কারখানার সামনে চাকরিপ্রত্যাশীরা বিক্ষোভ করেছেন। একমি কনজ্যুমারস লিমিটেডেও বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। ১০–১৫টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আরও বলেন, সমস্যা সমাধানে কারখানা মালিকপক্ষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।