যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে মামলা, স্বামী ও ননদ গ্রেপ্তার
বগুড়ার শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে মমতা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী ও ননদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চকবেওয়া গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁদের বগুড়ার আদালতে তোলার কথা আছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন ওসমান গনি (৩২) ও তাঁর বোন মমতা বেগম (২৮)। তাঁদের বাড়ি উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চকবেওয়া গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে ওই দুজন গতকাল রাতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরপুর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, যৌতুকের টাকা দাবি করে না পাওয়ায় গত রোববার রাতে মমতা খাতুনের গলায় প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল থানায় মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই আবদুল খালেক। মামলায় ওসমান গনির বোন মমতা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী আবদুল খালেক বলেন, আড়াই বছর আগে তাঁর বোন মমতার সঙ্গে ওসমানের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের সংসারে সাত মাস বয়সী এক মেয়ে আছে। সম্প্রতি ওসমান গনি তাঁর শ্বশুরের কাছে যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকার দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মমতা খাতুনের ওপর শারীরিক নির্যাতন চলতে থাকে।
আবদুল খালেকের অভিযোগ, ওসমান গনি তাঁর স্ত্রী মমতা খাতুনকে অন্যদের সহযোগিতায় গত রোববার রাতে গলায় প্লাস্টিকের দড়ি লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন। পরে শোবার ঘরের ধরনার সঙ্গে মরদেহটি ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা। যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর বোনকে হত্যা করবে, এমনটি তিনি চিন্তাও করেননি।
এদিকে গতকাল সকালে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।