পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাইয়ের বাড়ির মালামাল লুট
গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক এক নেতা ও তাঁর প্রতিবেশী ভাইয়ের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। দুই পরিবারের দাবি, আজ মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি গ্রামে পাশাপাশি দুই বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
লুট হওয়া এক বাড়ির মালিক মো. জয়নাল আবেদীন। তিনি গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া পাশের বাড়িটি তাঁর ভাই মো. আবদুল হালিমের। তিনি বাঁশবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ঘটনার প্রসঙ্গে মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, একতলা বাড়ির সদর দরজায় ভোররাত চারটার দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পান তাঁরা। জেগে উঠে দরজার ওই পাশের লোকজনের পরিচয় জানতে চান তিনি। এ সময় সজোরে দরজা ভাঙা শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এতে ভয় পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে তিনি বেরিয়ে দূরে চলে যান। এ সময় লুটপাট করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
মো. জয়নাল আবেদীনের ভাষ্য, ‘ঘটনাটি রাজনৈতিক কারণে ঘটানো হয়েছে কি না, বুঝতে পারছি না। আমি ৯ থেকে ১০ বছর আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতাম। এখন কোনো পদ নেই আমার।’
অন্যদিকে স্কুলশিক্ষক আবদুল হালিম বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা দরজা ভেঙে তাঁদের বসতঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে সবাইকে মুখে কাপড় গুঁজে ও হাত-পা বেঁধে লুটপাট শুরু করে তারা। মুহূর্তেই ঘরের স্বর্ণালংকার, টাকা ও মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যায়।
আবদুল হালিমের দাবি, দুর্বৃত্তের দলে অন্তত ১০ সদস্য ছিল। তাদের প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে। তবে সবার মুখ কাপড়ে বাঁধা ছিল, তাই কাউকে চিনতে পারেননি। হাত-পা বাঁধলেও কাউকে আঘাত করেনি দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ পাঠিয়ে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, এ ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে। এটি শুধু ডাকাতির ঘটনা নয়। আমরা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’