বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে মো. আলম নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার মামলায় চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়া শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ডবলমুরিং থানার একটি হত্যা মামলায় এম এ লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে কোতোয়ালি থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায়ও এম এ লতিফকে গ্রেপ্তার দেখান পৃথক আরেকটি আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে আনন্দমিছিল বের করা হয়। বিপরীতে কিছু দুষ্কৃতকারী অস্ত্র নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া গুলি লাগে মো. আলমের মাথায়। পরে মো. আলমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে নগরের ডবলমুরিং থানায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফসহ ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির ভাই জামাল উদ্দিন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ের ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
এর আগে ১৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত নগরের ডবলমুরিং থানায় গুলি করে জখম ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা আরেকটি মামলায় এম এ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী মাজার এলাকা থেকে এম এ লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।