এই ধর্মঘট মালিক–শ্রমিক কারও নয়, এটা সরকারের চাপিয়ে দেওয়া: রাজশাহীতে শিমুল বিশ্বাস
সারা দেশে বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে যে পরিবহন ধর্মঘট হচ্ছে, তা সরকারের চাপিয়ে দেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শিমুল বিশ্বাস। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই বিশেষ সহকারী বলেছেন, এ ধর্মঘটে মালিক-শ্রমিক ও দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। দেশের মানুষ এতে দুর্ভোগে পড়েছে। এই ধর্মঘট মালিক-শ্রমিক কারও নয়, এটা সরকারের চাপিয়ে দেওয়া এবং সাজানো ধর্মঘট।
আজ সোমবার বিকেলে নগরের মালোপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের করা হয়। রাজশাহীর ‘পরিবহন শ্রমিকবৃন্দ’-এর ব্যানারে আয়োজিত মিছিলটি কয়েকটি রাস্তা ঘুরে পুনরায় কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। বিএনপির নেতারা বলছেন, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বড় জমায়েত বাধাগ্রস্ত করতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এই ধর্মঘটের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিমুল বিশ্বাস বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ঠেকাতে এ ধরনের ধর্মঘট পৃথিবীর নজিরে নেই। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার এই কুনজির স্থাপন করেছে। এ ধরনের ধর্মঘটের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল হলো। এ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে অচিরেই গণপ্রতিরোধ হবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। জনগণের পক্ষ থেকে সেই আন্দোলনের সূচনা করেছে রাজশাহীর মানুষ।
এই পরিবহন ধর্মঘটকে গণতন্ত্র বিনষ্টকারী উল্লেখ করে শিমুল বিশ্বাস বলেন, ধর্মঘটের বিরুদ্ধে রাজশাহীর পরিবহনশ্রমিকেরা তাঁর কাছে দেখা করতে এসেছিলেন। ১ ডিসেম্বর থেকে ডাকা ধর্মঘটের তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সমাবেশ শেষে পরিবহননেতা শিমুল বিশ্বাসের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহীতে গাড়ি চলবে কি না, জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ, গুন্ডা বাধা না দিলে মালিক-শ্রমিকেরা গাড়ি চালাতে চান। ধর্মঘট দিয়ে দেশের ক্ষতি করে কী লাভ। মানুষ তো ঠেকাতে পারছে না। তিন-চার দিন আগে থেকে মানুষ আসছে। রাজশাহীতেও তা-ই হবে। এ বিষয়ে সরকারের বোধোদয় হোক। সরকার পরিবহনমালিক, শ্রমিক ও দেশবাসীকে ক্ষতিগ্রস্ত আর না করুক।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, বিএনপির নেতা-কর্মী, পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সমিতির নেতারা।