ঠিকানা লেখা একটি খামের সূত্র ধরেই বের হয়ে এল নিহত ব্যক্তিদের পরিচয়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালকসহ তিনজন নিহত হন। গুরুতর আহত অপর একজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পর মৃত্যু হয়।
লাশগুলো রাখা হয় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানায়। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটিও থানার সামনে আনা হয়। কিন্তু বিকেল পর্যন্তও নিহত ব্যক্তিদের নামপরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না।
মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে বিকেলে বঙ্গবন্ধু সেতু থানার উপসহকারী পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম একটি খাম উদ্ধার করেন। ওই খামে লেখা ছিল একটি ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর। ঠিকানা লেখা ছিল, ‘ময়নাল হোসেন, পিতা: দুলাল হোসেন, মাতা: পারভীন বেগম, গ্রাম: কুটুম্বপুর, উপজেলা: চান্দিনা, জেলা: কুমিল্লা।’
খামটি পেয়ে উপসহকারী পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ফোন করেন। অপর প্রান্ত থেকে ফোনটি ধরেন ময়নাল হোসেন। মাইক্রোবাস দুর্ঘটনা ঘটেছে সংবাদটি জানানো হয় ময়নাল হোসেনকে। ময়নাল হোসেন জানান, তাঁর বাবা দুলাল হোসেন মাইক্রোবাসের চালক। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের একজন সেনা কর্মকর্তার স্বজনেরা বগুড়া যাওয়ার জন্য এটি ভাড়া নিয়েছেন। সুশীল চন্দ্র শীলকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাবা সকালে কুমিল্লা থেকে রওনা হন বগুড়ার উদ্দেশে। পরে ময়নালের চাচাকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত ঘটনা জানায় পুলিশ। তাঁদের মাধ্যমেই বের হয়ে আসে মাইক্রোবাসের আরোহীদের পরিচয়।
সন্ধ্যায় ময়নাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, বাবার মতো তিনিও মাইক্রোবাসচালক। একটি চাকরির জন্য বাবার কাছে জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছিলেন। তার খামের ওপর লেখা ছিল ঠিকানাটি। বাবা দুলাল হোসেন গাড়ির মধ্যে রেখেছিলেন সেই খাম। আর এর সূত্র ধরেই তাঁর ও মাইক্রোবাসের অন্য সব আরোহীর পরিচয় বের হয়ে আসে।