টাঙ্গাইলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আজ শুক্রবার কৃতী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা বসেছিল। শিখো-প্রথম আলো আয়োজিত ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সমবেত হয় জেলার প্রায় দেড় হাজার কৃতী শিক্ষার্থী।

আজ সকাল ৮টা থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করে। তারা নির্ধারিত স্টল থেকে ক্রেস্ট, সনদ ও উপহার গ্রহণ করে। সকাল সাড়ে ১০টায় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনার মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা পর্বে সরকারি সা’দত কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত নন্দী বলেন, ‘তোমরা যারা জিপিএ–৫ পেয়েছ। তাদের দায়দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। তোমাদের নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। তোমরা গ্লোবাল সিটিজেন। সারা বিশ্বের সঙ্গে তোমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। এসএসসি পরীক্ষায় যে সাফল্য পেয়েছ, তা যেন সারা জীবন বজায় থাকে। তোমরা যেন হারিয়ে না যাও।’

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল করিম বলেন, ‘তোমরা ভালো ফলাফল করেছ। তোমাদের আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে।’

প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কবি ও কলাম লেখক সোহরাব হাসান বলেন, ‘আপনারা প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছেন মাত্র। আপনাদের জেলা টাঙ্গাইল অনেক গর্বের, অনেক গৌরবের। মাওলানা ভাসানী, শামসুল হক, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা, জাদু সম্রাট পিসি সরকার, কবি তারাপদ রায় আপনাদের জেলার সন্তান। তাঁদের যে গৌরব রয়েছে, আপনারাও তা বজায় রাখবেন। প্রথম আলো আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারাও প্রথম আলোর সঙ্গে থাকবেন। মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে না বলবেন। বাংলাদেশ ভালো পথে যাবে না মন্দ পথে যাবে, তা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সনদ হাতে কৃতী শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহসভাপতি বাদল মাহমুদ, ভারতেশ্বরী হোমসের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হেনা সুলতানা, প্রথম আলো বন্ধু সভার উপদেষ্টা জিনিয়া বখ্শ বক্তব্য দেন। কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আহাদ মিয়া, সিনহা মেহেরজাবিন, জিসামুল হক ও হাসান এবং অভিভাবকদের মধ্যে রোকসানা পারভীন ও এম এ তারেক মঞ্চে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন টাঙ্গাইলে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কামনাশীষ শেখর। সব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে শিশুশিল্পী আদৃতা আঁচল। কবিতা আবৃত্তি করে কৃতী শিক্ষার্থী আতিয়া তাসলিম। সংগীত পরিবেশন করেন টাচ্ ব্যান্ডের লিজু বাউলা ও সুফী শামীম।

পর্যায়ক্রমে সারা দেশের ৬৪ জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হচ্ছে। এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফ্রেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।