আলুর হিমাগার থেকে ২১ লাখ ডিম, ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি উদ্ধার
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে (হিমাগার) অবৈধভাবে রাখা ২১ লাখ ডিম ও ৮০০ ড্রামে রাখা ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি ও মিষ্টির শিরা উদ্ধার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে হিমাগারের মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেন।
কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করেন। পরে হিমাগারের সহকারী ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। এ ছাড়া চার মিষ্টি ব্যবসায়ীকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কৃষি বিভাগের লাইসেন্স ছাড়াই ওই হিমাগার চলছিল বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবর পান অবৈধভাবে লালমাই উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে আলুর সঙ্গে ডিম, মিষ্টি ও মিষ্টির শিরা মজুত রাখা আছে। এরপর তিনি বিষয়টি কুমিল্লা জেলা প্রশাসককে জানান। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম ও জেলা পুলিশের একটি দল আজ দুপুরে সেখানে উপস্থিত হন। এরপর তাঁরা সেখানে হিমাগারের সহকারী ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিনকে পান।
কৃষি বিপণনের লাইসেন্স না নিয়ে হিমাগার পরিচালনা করা ও অবৈধভাবে বিপুলসংখ্যক ডিম ও মিষ্টি মজুত করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃপক্ষকে কৃষি বিপণন আইন ২০১৮–এর দুটি ধারায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বাজারজাত করতে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। এ ছাড়া কৃষি বিপণন কর্মকর্তাকে বিষয়টি নজরদারি করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া চার মিষ্টি ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, আলুর সঙ্গে ডিম, মিষ্টি ও মিষ্টির শিরা রাখা হয়। এ কারণে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ দল সাজা ও অর্থদণ্ড দেন।