বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ বলেন, ‘আমরা রক্ত দেখেছি। এখানে যে মানুষগুলো বসে আছেন, আমরা রক্ত দেখে এখানে বসে আছি। তাই রাজনীতিবিদ যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ থাকবে, রক্ত নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। আমরা রাজপথ চিনে এখানে এসেছি। যেকোনো সময় আবার রাজপথে ফিরে যেতে পারি।’
আজ রোববার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এ কথাগুলো বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের চোখে আগামীর বাংলাদেশ: পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রভাবনা’ শিরোনামে এ সভার আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম।
এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ বলেন, ‘মানুষ যখন ক্ষমতায় যায়, তখন প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়। যে লোকটা তার পাশের মানুষটাকে বুলেটের আঘাতে মৃত্যুবরণ করতে দেখেনি, রামদা দিয়ে কোপাতে দেখে নাই তার সহযোদ্ধাকে, সে কখনো সহযোদ্ধাদের রক্তের দাম বুঝবে না।’
সভায় আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ও আঘাত পাওয়া অন্তত ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের একজন নিউমার্কেট এলাকায় আহত জুনাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা মৃত্যুকে আর ভয় করি না। আমরা পিছু হটব না এখন। এখনো বিভিন্ন সেক্টরে স্বৈরাচারের দোসররা থেকে গেছে। তাদের সরানো না হলে আমাদের রক্ত দেওয়া বৃথা হয়ে যাবে।’
আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা বলেন, ‘আমরা যে স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছি, তা এখনো পাইনি। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাইছেন। অথচ আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খবর কেউ নিচ্ছেন না। যাঁরা রক্ত দিলেন, তাঁদের খোঁজ না নিয়ে তাঁরা নির্বাচন চাইছেন।’
সভায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা ৩৯৪ জন আহতের তালিকা ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি। আরেকটি তালিকা হচ্ছে। আমরা দ্রুত সবা পুনর্বাসন করার ব্যবস্থা করব।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক জুবায়ের আল মানিক ও রিজাউর রহমান।