চট্টগ্রামে স্কুল-কলেজ ও অফিসে উপস্থিতি কম

বিদ্যালয় খুললেও নেই কোনো শিক্ষার্থী। শিক্ষকরা অলস সময় কাটিয়েছেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলী জয়তারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রাম নগরের কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষার্থীসংখ্যা ২ হাজার ৪০০। আজ মঙ্গলবার স্কুল খুললে দশম শ্রেণির মাত্র একজন শিক্ষার্থী এসেছিল। তবে আর কেউ না আসায় ওই শিক্ষার্থী শ্রেণিকার্যক্রমে অংশ নেয়নি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজু্ল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সড়কে গণপরিবহন নেই। সড়ক প্রায় ফাঁকা। মানুষজন বের হচ্ছে না। একজন শিক্ষার্থী এলেও সে ক্লাস করেনি। শিক্ষকেরা এসে বসে আছেন।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন এলেও নগরের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সকালের পালায় কোনো শিক্ষার্থী আসেনি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরিফ উল হাছান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দুই পালায় শিক্ষার্থী প্রায় সাত হাজার। সকালের পালা শুরু হয় সকাল ৭টায়। শিক্ষকেরা সবাই উপস্থিত হলেও কোনো শিক্ষার্থী আসেনি।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়, আজ সকাল থেকে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সব প্রতিষ্ঠানেই উপস্থিতি হাতে গোনা। চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্মকর্তাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওয়াসা ভবনে আসেননি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, কর্মকর্তাদের উপস্থিতি একদমই কম।

মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী তাঁর কার্যালয়ে আসেননি। অন্যদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কিছুটা থাকলেও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ আসেননি।