কুমিল্লায় সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের দুই ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা

বাঁ থেকে—আসামি গোলাম সারোয়ার, আবদুল হামিদ ও কামরুল হাসান
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় ১০ বছর আগে অপহরণ করে মারধর ও মুক্তিপণের টাকা আদায় করার অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দুই ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সফিউল আলম নামের একজন ব্যক্তি গত বুধবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী বিল্লাল হোসেন আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার আরজিতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই আসামিরা হলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সারোয়ার, তাঁর বড় ভাই লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ, হামিদের ছেলে লালমাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান, গোলাম সারোয়ারের ব্যক্তিগত গাড়িচালক আবদুর রেজ্জাক, সদর দক্ষিণ উপজেলার দত্তপুর গ্রামের মু. শাহ আলম ও চণ্ডীমুড়া গ্রামের মো. আবুল কালাম। এ ছাড়া আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

গোলাম সারোয়ার ও আবদুল হামিদ সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামালের দুই ভাই। কামরুল হাসান সাবেক অর্থমন্ত্রীর ভাতিজা।

মামলার বাদী সোহাগ লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের বড় চলুণ্ডা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একজন ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর লালমাই উপজেলার পশ্চিম বাজার এলাকায় কোরবানির পশুর হাট দেখতে গিয়ে আসামিদের মারধরের শিকার হন বাদী। একপর্যায়ে আসামিরা তাঁকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করে টাকা আদায় করেন ও খালি চেকে স্বাক্ষর রেখে দেন। পরে আবারও তাঁর কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন।

বাদীর অভিযোগ, এ ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ওই সময় থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি নেয়নি।

এ বিষয়ে কামরুল হাসান বলেন, তিনি মামলার বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবার জেনেছেন। মামলার বাদীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাদী (সোহাগ) একজন প্রতারক। টাকার জন্য মামলা করেছেন। তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।’