খুলনায় কনকনে ঠান্ডার মধ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি
খুলনায় টানা কয়েক দিন কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ার পর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি বাড়ে। কিছুক্ষণ পরই আবার শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এমন পরিস্থিতিতে জবুথবু হয়ে পড়েছে খুলনার জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
গত কয়েক দিনে খুলনায় সূর্যের দেখা মেলেনি, ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল খুলনার আকাশ, সেই সঙ্গে ছিল উত্তরের হিমেল হাওয়া—সব মিলিয়ে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে খুলনার মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়নি। সড়কে যানবাহনও ছিল তুলনামূলক কম।
খুলনা আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমি লঘুচাপের কারণে খুলনায় সকাল ৯টার পর হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টি কয়েক ঘণ্টা থাকতে পারে। বৃষ্টি ও মেঘ কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। আজ খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা এমনই থাকতে পারে। ২০ জানুয়ারির পর খুলনায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খুলনা নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারদিক। সেই সঙ্গে বইছে বাতাস। বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। সড়কে যানবাহন খুবই কম। বাস, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
গল্লামারী এলাকায় কথা হয় ইজিবাইকচালক মিলন হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে আজকের আকাশটা আরও খারাপ। বাতাস অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতি হবে বুঝতে পারলে আজ বাড়ি থেকে বের হতেন না তিনি।
নগরের দৌলতপুর এলাকার বাস্তুহারা সিটি করপোরেশন মার্কেটের চা–দোকানি আবদুর রউফ বৃষ্টিতে দোকানের মধ্যে জড়সড় হয়ে বসে ছিলেন। দোকানে কোনো ক্রেতা নেই। তিনি বলেন, ঠান্ডার মধ্যে মানুষ দোকানে এসে ভিড় করেন, তখন কেনাবেচাও ভালো হয়। তবে আজ বৃষ্টির কারণে কোনো ক্রেতা নেই। শীত ও বৃষ্টিতে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
মাঘের এই বৃষ্টি স্থায়ী হলে ও জমিতে পানি জমলে রবিশস্যের সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত যে ধরনের বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফসলের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। তবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে মাঠে থাকা ডালজাতীয় ফসলের ক্ষতি হতে পারে। ছত্রাকের আক্রমণে ফসলের রোগবালাই বাড়তে পারে।