লালমনিরহাট জেলা পরিষদের উপনির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ আপিলে স্থগিত
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের উপনির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ নির্বাচন আইন ২০০০-এর দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. তাহমিদুল ইসলাম। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ দিনের জন্য উপনির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে স্থগিতাদেশ আরও এক মাসের জন্য বাড়ানো হয়।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন মো. মমতাজ আলী নামের উপনির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম একটি আদেশ জারি করেন। আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রার্থনা অনুসারে তর্কিত আদেশটি (হাইকোর্ট) আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হলো।’
লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফুল সরকার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফায় উপনির্বাচন ১ মাস ২০ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী আপিল করলে আট সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। বিকেলে বিষয়টি ই–মেইলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে জানিয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের জন্য ধার্য ছিল। ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের, ১৯ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি আপিল নিষ্পত্তি, ২২ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ, ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ ও ৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়। পরে গত ২৩ জানুয়ারি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের জন্য ধার্য ছিল। ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের, ১৯ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি আপিল নিষ্পত্তি, ২২ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ, ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ ও ৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।