সিলেটের কিছু এলাকায় বন্যার পানি নামেনি, পাঠদান বন্ধ ২৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার অনেক এলাকা এখনো বন্যার পানিতে প্লাবিত আছে। এতে গ্রাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট তলিয়ে আছে। জেলায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ছিল। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর ১৫৫টিতে আছে বন্যার পানি।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বলেন, সিলেটে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে অনেক এলাকার রাস্তাঘাট ও আশপাশ এখনো প্লাবিত থাকায় বিভিন্ন বিদ্যালয় চালু থাকলেও অনেক শিক্ষার্থী যেতে পারছে না। অনেকে দুর্ভোগ সহ্য করে পানি ডিঙিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু বিদ্যালয় এখনো পানিতে তলিয়ে থাকায় সেসব বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ আছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ হাজার ৪৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ১২৩টি বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর বাইরে ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, সেগুলোতেও পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে বালাগঞ্জে ৪৬টি, ফেঞ্চুগঞ্জে ১২টি, বিয়ানীবাজারে ১৪টি, জকিগঞ্জে ৫টি, কানাইঘাটে ৩টি, কোম্পানীগঞ্জে ৮টি, দক্ষিণ সুরমায় ১৩টি ও ওসমানীনগরে ২০টি বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া বিশ্বনাথের ৪টি, বালাগঞ্জের ১৮টি, ফেঞ্চুগঞ্জের ১১টি, গোলাপগঞ্জের ২টি, বিয়ানীবাজারের ১০টি, জকিগঞ্জের ৩টি, কানাইঘাটের ১টি, দক্ষিণ সুরমার ৯টি ও ওসমানীনগরের ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র এখনো চালু আছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত এরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বন্যায় বিদ্যালয়গুলোর ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে, তা নির্ধারণ করার জন্যও সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ৬৭৩টি উচ্চবিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা আছে। এর মধ্যে এখনো বন্যাকবলিত রয়েছে ৩২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ আছে। এর বাইরে ২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় সেখানেও পাঠদান বন্ধ আছে।
সিলেটের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বলা হয়েছে। তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।