সরকারি দুর্নীতির বড় অংশ ঘটে কেনাকাটায়: দুদক চেয়ারম্যান

প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সোমবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়
ছবি: প্রথম আলো

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমরা যেসব বড় বড় দুর্নীতির কথা বলি, এ দুর্নীতিগুলোর একটি বড় অংশ ঘটে কেনাকাটায়। আমরা যদি ক্রয়পদ্ধতি সম্বন্ধে সচেতন থাকি, বাজারমূল্য সম্বন্ধে সচেতন থাকি, আমরা যে জিনিসটা ক্রয় করছি, সেটি আমাদের দরকার কি না, এ সম্বন্ধে সচেতন থাকি, তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশে লাঘব করা সম্ভব।’

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজে দুদক কর্মকর্তাদের সরকারি ক্রয়নীতির ওপর ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় অসংখ্য দুর্নীতির খবর আপনারা পেয়েছেন। কোথাও অস্বাভাবিক বেশি দামে মালামাল কেনা হয়েছে, কোথাও নিম্নমানের মালামাল কেনা হয়েছে, যা এখন ব্যবহার করা যায় না। এসব ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।’

হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘কতগুলো দুর্নীতির ব্যাপারে আপনারা অবহিত। এর মধ্যে একটি হচ্ছে মেডিকেল সেক্টর। কিছুকাল আগেও ঠিকাদার ঠিক করতেন, হাসপাতালের জন্য কী কী যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। হাসপাতালকে বাধ্য করা হতো সেসব যন্ত্রপাতি কেনার পেপারে সই করতে। সেগুলো ঢাকায় আসত এবং সেই সব মালামাল হাসপাতালে সাপ্লাই করা হতো। দেখা যেত, ওই সব অধিকাংশ মালামাল দিয়ে অপারেশন করা যাচ্ছে না।’

দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি দুদকের মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতি বন্ধের পাশাপাশি আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দুদকের সহকারী পরিচালক ও উপসহকারী পরিচালক মিলিয়ে ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছেন।