রাজশাহীতে বাস বন্ধ, যাত্রীদের ভোগান্তি
কয়েকজন বাসশ্রমিককে মারধরের জের ধরে রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বেলা একটা থেকে রাজশাহীর কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। ফলে যাতায়াতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তবে বাইরের জেলা থেকে আসা বাসগুলো রাজশাহী থেকে চলে যেতে পারছে।
এর আগে সকালে রাজশাহীর তানোর উপজেলায় অন্তত পাঁচজন বাসশ্রমিককে মারধর করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। এ সময় বাসচালক স্বপন আলী, বাবর, শাহীন, নুরুজ্জামান ও কন্ডাক্টর জিয়া আহত হন। তাঁদের মারধরের জের ধরে রাজশাহী থেকে আন্তজেলা রুটের বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বেলা একটার দিকে হঠাৎ করেই বাসশ্রমিকেরা নগরের শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় লাঠিসোঁটা হাতে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা নগরের রেলগেটের সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ডের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে রাজশাহীর শ্রমিকনেতা হেলাল উদ্দীন শ্রমিকদের উত্তেজিত না হওয়ার অনুরোধ করেন। তবে অনুরোধ উপেক্ষা করে কিছু শ্রমিক অটোরিকশা ভাঙচুরের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হন রেলগেটের দিকে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে শ্রমিকদের শান্ত করেন। তবে বাস চলাচল শুরু হয়নি। বেলা তিনটা পর্যন্ত বাস বন্ধই ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকেরা বাস ছাড়ছেন না। রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস বন্ধ আছে। শুধু বাইরে থেকে আসা বাস চলে যাচ্ছে। তানোরে আমাদের পাঁচ-ছয়জন শ্রমিককে মেরে আহত করেছেন অটোরিকশার চালকেরা। পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি। ফলে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বাসশ্রমিক ও অটোরিকশার চালকদের সমস্যা পুরোনো। অটোরিকশার চালকেরা শহরে গেলে তাঁদের অটোরিকশা আটকানো হয়। আবার বাস তানোরে গেলে সেখানে বাসের চালক-হেলপারদের দাপট দেখানো হয়। এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। মামলা না নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘মামলা নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা অভিযোগ দিয়ে গেছেন। সেটা লিখতে তো সময় লাগবে। মামলা লেখা হচ্ছে। মামলা রেকর্ড হয়ে যাবে।’