নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাধা, হামলা ও ভাঙচুর এবং কর্মীদের মারধরের লিখিত অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আলী হোসেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের কাছে এ লিখিত অভিযোগ দেন সোনালী আঁশের এই প্রার্থী।
যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে জানান, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি বরাবর তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
আলী হোসেন উল্লেখ করেন, গতকাল সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বটতলা রেললাইন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম ওসমানের ১০-১২ জন সমর্থক প্রচারণায় বাধা দেন। প্রচারে ব্যবহৃত মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় মাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। কর্মী ও অটোরিকশাচালককে মারধর করা হয়। এলাকায় নৌকা ছাড়া আর কোনো প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না বলে হুমকি দেন শামীম ওসমানের কর্মীরা। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন আলী হোসেন। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হলে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আলী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রচারণা চালাতে গিয়ে আমার লোকজন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। আমার লোকজনকে মারধর করে, মাইক ভাঙচুর ও ফেস্টুন ভাঙচুরের বিষয়টি মুঠোফোনে আমি ওসি সাহেবকে জানিয়েছি। জবাবে ওসি সাহেব বলেন, আমাকে গিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে। আমি যদি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে থাকি, আমি প্রচার-প্রচারণা চালাব কখন?’
জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম জানান, তাঁদের কাছে বিষয়টি কেউ জানাননি, কোনো অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে কিছু করে থাকলে খোঁজ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাবে, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরাও একমত। তাই কাউকে প্রচারণা চালাতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই।’