মিথ্যাচার করে ১৪৪ ধারা জারির অভিযোগে নালিতাবাড়ীর ইউএনও–এসি ল্যান্ডের অপসারণ দাবি বিএনপির

ইউএনও–এসি ল্যান্ডের অপসারণ দাবি করে শেরপু‌রের নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন। আজ সোমবার বি‌কে‌লে না‌লিতাবাড়ী বাজা‌রে বিএন‌পির কার্যালয়েছ‌বি: প্রথম আলো

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ‘বালু নিয়ে দ্বন্দ্বের’ জেরে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারিকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছে উপজেলা বিএনপির একাংশ। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামিদের নিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভা করার অভিযোগে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা ও সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড) আনিসুর রহমানের অপসারণের দাবি তুলেছেন বিএনপি নেতারা।

আজ সোমবার বিকেলে না‌লিতাবাড়ী বাজারে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমীন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস আলী দেওয়ান, শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

বিএনপি নেতা নুরুল আমীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার চার আসামিকে (ইউপি চেয়ারম্যান) নিয়ে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে সমন্বয় সভা করেন ইউএনও মাসুদ রানা। ওই আসামিদের নিয়ে সমন্বয় সভা করার প্রতিবাদে ও তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার বেলা ১১টায় তাঁরা বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। যা নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে তাঁদের একাধিকার কথাও হয়েছিল। কিন্তু ইউএনও কর্মসূচি বন্ধ করতেই বালু নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা বলে মিথ্যাচার করে ১৪৪ ধারা জারি করেন।

নুরুল আমীন বলেন, ‘আমরা চাই, অবিলম্বে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যানদের গ্রেপ্তার করা হোক। ইউএনও আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন, আমরা তাঁর সঙ্গে একবিন্দুও জড়িত নই। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

এ বিষয়ে ইউএনও মাসুদ রানা বলেন, গতকাল বিএনপির কোনো কর্মসূচি ছিল কি না, তা জানা ছিল না। বালু নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের বিক্ষোভে সংঘাত হওয়ার আশঙ্কায়ই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কোনো ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি কি না, এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন বা থানায় এখনো কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। তাই সব ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে সমন্বয় সভা করতে কোনো বাধা ছিল না।