উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে শ্বাসরোধে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে মো. ইলিয়াছ (২৮) নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১ পশ্চিম) ই-ব্লক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইলিয়াছ ই-ব্লকের ৪ নম্বর শেডের বাসিন্দা মামুন রশিদের ছেলে। পুলিশ ধারণা করছে, শ্বাস রোধ করে ইলিয়াছকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে আশ্রয়শিবিরের ই-ব্লকের একটি ঘরের মেঝেতে ইলিয়াছের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আত্মহত্যা বললেও নিহত ব্যক্তির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, শ্বাস রোধ করে ইলিয়াছকে হত্যা করে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আজ দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে উখিয়ায় বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) বি-৫৭ ব্লক এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নুর কায়াছ (২৬) নামের এক রোহিঙ্গা গৃহবধূ। একই সময় উখিয়ার ময়নারঘোনা (ক্যাম্প-১২) আশ্রয়শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ক্যাম্পের হেড মাঝি রোহিঙ্গা আবদুর রহিম (৩৮)। নিহত নুর কায়াছ বালুখালী আশ্রয়শিবিরের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী। আর আবদুর রহিম ময়নারঘোনা আশ্রয়শিবিরের এইচ-১ ব্লকের করিম উল্লাহর ছেলে। তিনি ওই শিবিরের জি-১ ব্লকের প্রধান মাঝি।