খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে সাধারণ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৮৯ জন নেতা-কর্মী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ২৩ জন এবং সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে আছেন ৬৬ জন। প্রতিটি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের অন্তত একজন করে প্রার্থী আছেন। তবে বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই দলের একাধিক নেতা-কর্মী প্রার্থী হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য মোট ১৪৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৯ কাউন্সিলর প্রার্থী। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের এস এম খুরশিদ আহম্মেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব ওয়ার্ডে বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রার্থী হয়েছেন, ওই সব ওয়ার্ডে অন্তত একজন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছেন। এদিকে গত নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর হওয়ার পর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন, এমন প্রার্থী আছেন ১২ জন। তাঁরা এখন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও মহানগরের নির্বাহী সদস্যপদে আছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাতজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর শেখ আবদুর রাজ্জাক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। ওই ওয়ার্ড থেকে আবদুর রাজ্জাকের পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহাদাত মিনা ও দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনিরুজ্জামান খান। ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম গতবার কাউন্সিলর হওয়ার পর বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি এখন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে আছেন। ওই ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য মো. আবদুস সালাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ হাসান ও ওয়ার্ড নেতা কাজী ইব্রাহিম মার্শাল। ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী ও যুবলীগ নেতা মো. জামিরুল ইসলাম বন্দ। ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া চারজনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা আছেন দুজন। তাঁরা হলেন—বর্তমান কাউন্সিলর ও দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ।
৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগের যোগ দিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে আছেন। তাঁর পাশাপাশি প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান তরফদার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভাই মো. শামসুল আলম। ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ বিএনপি থেকে যুবলীগে যোগদান করেছেন। তাঁর পাশাপাশি প্রার্থী হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শেখ খালিদ আহম্মেদ। ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর এইচ এম ডালিমও বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে আছেন। এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করতে চান যুবলীগ নেতা মো. সাহিদুর রহমান।
৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এম ডি মাহফুজুর রহমান। এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের অন্য কোনো প্রার্থী নেই। ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা কাজী তালাত হোসেন। এখানে নির্বাচন করতে চান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. শরীফুল ইসলাম।
১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য মুন্সী আবদুল ওদুদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. জামান মোল্লা ও যুবলীগ নেতা কাজী নিয়ামুল হক রয়েছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাতজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে মহানগরের সদস্য হিসেবে আছেন। এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করতে চান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা চৌধুরী মিরাজুর রহমান ও মো. জোবায়ের হোসেন।
১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১২ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মফিজুর রহমান ও যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শুধু বর্তমান কাউন্সিলর মো. আমিনুল ইসলাম। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নয়জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাস বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য হয়েছেন। তাঁর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখার। ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য হয়েছেন। ওই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করতে চান সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী খান ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. শামীম শেখ।
১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আটজন। এর মধ্যে আছেন থানা আওয়ামী লীগ নেতা এস এম রাজুল হাসান, টিএম আরিফ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. পারভেজ আহম্মেদ ও মো. জাকির হোসেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আটজন। ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী মহানগর শ্রমিক লীগ নেতা মো. জাকির হোসেন। ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করা বর্তমান কাউন্সিলর শেখ মো. গাউসুল আযম বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য। ওই ওয়ার্ড থেকে আরও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মো. লিটন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. বাদশা হাওলাদার।
২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে আছেন বর্তমান কাউন্সিলর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা মো. শামসুজ্জামান মিয়া ও মহানগর শ্রমিক লীগ নেতা মোতালেব মিয়া। ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য কাজী আবুল কালাম আজাদের পাশাপাশি আছেন সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. অহিদুল ইসলাম। ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে আছেন বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য ইমাম হাসান চৌধুরী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুল ইসলাম। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেড এ মাহমুদ।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলী আকবর। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। সেখানে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী হলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. গোলাম মাওলা। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রফিউদ্দিন আহমেদ।
২৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর সাবেক মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আজমল আহমেদ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হাসান। ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। দুজনই আওয়ামী লীগের। বর্তমান কাউন্সিলর সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকির মো. সাইফুল ইসলাম ও সাবেক যুবলীগ নেতা মুন্সী নাহিদুজ্জামান। ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আটজন। সেখানে বর্তমান কাউন্সিলর মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য এস এম মোজাফফর রশিদীর বিপরীতে আছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শিহাব উদ্দিন ও মহানগর কৃষক লীগ নেতা এ কে এম শাহাজাহান। ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সাতজন। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য আরিফ হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি রফিকুল আলম ও ওয়ার্ড সদস্য আবদুস সালাম রয়েছেন।
সংরক্ষিত ওয়ার্ড
১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরা আক্তার। ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছেন শাহিদা বেগম। ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। তিন প্রার্থী হলেন—রহিমা আক্তার, রাফিজা ও রেহানা গাজী। ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে পারভীন আক্তার ও খাদিজা সুলতানা ওয়ার্ড মহিলা লীগ নেতা।
৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। এর মধ্যে সুফিয়া রহমান ও ফারজানা রহমান ওয়ার্ড মহিলা লীগ নেতা। ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তিনজনের মধ্যে শেখ আমেনা হালিম ও রোজী ইসলাম ওয়ার্ড মহিলা লীগ নেতা। ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে মাহমুদা বেগম সোনাডাঙ্গা থানা মহিলা লীগের সভাপতি ও মামনুরা জাকির ওয়ার্ড মহিলা লীগ সদস্য। ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তাঁরা হলেন—২৩ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা লীগের নেতা রেখা খানম, জেলা মহিলা লীগের সম্পাদিকা হালিমা ইসলাম ও মহানগর মহিলা লীগ নেতা ঝুমুর বেগম। ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। এর মধ্যে তিনজনই মহিলা লীগের মহানগর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা। ওই তিনজন হলেন—রেখা খানম, নুপুর দাস ও রুমা খাতুন।
১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাতজন। তাঁদের মধ্যে আছেন মহিলা লীগের পাঁচ নেতা—জেসমিন পারভীন, ফেরদৌসি আলম, রেকসনা কালাম, আঞ্জুয়ারা বেগম ও মোসা. মাসুদা খানম।