চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। আজ সোমবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন তাঁরা। বেলা তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান ধর্মঘট চলছিল।
কর্মচারীরা বলেন, চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং একই দাবিতে মানববন্ধন করা হলে কোষাধ্যক্ষ রাশেদা আখতার অস্থায়ী কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ী করার আশ্বাস দেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তাঁরা। তখন প্রশাসন ৬ মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসে নিয়োগের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন স্থগিত করেন। আশ্বাসের ছয় মাস অতিবাহিত হলেও কোনো বাস্তবায়ন দেখতে না পেয়ে আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন তাঁরা।
বেগম সুফিয়া কামাল হলের অস্থায়ী কর্মচারী ও নিরাপত্তা প্রহরী শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, মৌখিক আশ্বাসের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। তাই দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীরা সর্বসম্মতিক্রমে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর মিটিংয়ে আছেন বলে কল কেটে দেন।
কর্মচারীদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাঁদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়, যা বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খুবই স্বল্প। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।
শেখ হাসিনা হলের মালি পদে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারী শরিফুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ৯ বছর ধরে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করছেন। তাঁর দুই মেয়ে লেখাপড়া করছে। যে টাকা বেতন পান, তা দিয়ে তিনি সংসার চালাতে পারেন না। প্রতি মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে। খেয়ে না খেয়ে তাঁরা দিন পার করছেন।