বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ

বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ। শনিবার সকালে সদর উপজেলার ফতুল্লার শাসনগাঁওয়েছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বকেয়া বেতনের দাবি ও কারখানা লে-অফ ঘোষণার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, সকালে সদর উপজেলার ফতুল্লার শাসনগাঁওয়ে ক্রোনি গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স এবং কাশীপুর ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকায় ক্রোনি অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা আগস্ট মাসের বকেয়া বেতন ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা লে-অফ ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপযার্য়ে তাঁরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনী, শিল্প ও থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেনাবাহিনী শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।

অবন্তী কালার টেক্স ও ক্রোনি অ্যাপারেলসে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কারাখানা দুটি শ্রম আইন ২০০৬–এর ১২(৮) ধারা মোতাবেক কারখানার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, পর্যাপ্ত কাজ না থাকা ও নতুন অর্ডার না আসায় লে-অফ ঘোষণা করে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতন এবং ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করেই কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত তাঁদের বকেয়া বেতন ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধের দাবি জানান শ্রমিকেরা।

আদমজীর শিল্প পুলিশ-৪–এর পরিদর্শক (গোয়েন্দা) বাদশা সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই মাসের বেতনের ৬০ শতাংশ এবং আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া আছে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করেই ক্রোনি গ্রুপ কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে। এ জন্য শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনী, শিল্প ও থানা–পুলিশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা করে আগামী অক্টোবরের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ক্রোনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলাম সানির মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, দুপুরে তাঁর কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সভায় সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন। মালিকপক্ষ আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকেদের বকেয়া বেতনসহ পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ চাইলে কারখানা খুলে পরিচালনা করতে পারবে। এই বিষয়ে শ্রমিকেরা সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।