শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটককে ‘শহীদ রুদ্র তোরণ’ নাম দিলেন আন্দোলনকারীরা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটককে ‘শহীদ রুদ্র তোরণ’ নামকরণ করলেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব। এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন দোকান ও বাসাবাড়িতে গণসংযোগ করে লিফলেট বিতরণ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দুপুরে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী প্রধান ফটকে ‘শহীদ রুদ্র তোরণ’ লেখাসংবলিত একটি প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেন। তাঁদের কয়েকজনকে বক্তব্য দিতেও দেখা যায়। এ সময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফয়সাল হোসেন, সমাজকর্ম বিভাগের আজাদ শিকদার, গণিত বিভাগের হাফিজুল ইসলামসহ ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
রুদ্র সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব প্রথম আলোকে বলেন, ১৮ জুলাই দুপুরে রুদ্র সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন। এ সময় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সেখানেই প্রথম আহত হন রুদ্র। এরপর বেলা তিনটার দিকে সুরমা এলাকায় পুলিশ-ছাত্রলীগের যৌথ হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীরা। আহত হওয়ার কারণে রুদ্র সন্ধ্যায় নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বের হলে তৃতীয়বারের মতো পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে থাকে। এ সময় জীবন বাঁচাতে খাল পার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে মৃত্যু হয় রুদ্রর।
আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে রুদ্র সেন শহীদ হয়েছেন। আমরা তাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নামকরণ করেছি। কাগজের এই লেখা কেউ ছিঁড়ে ফেললে আমরা আবারও রক্ত দিয়ে লিখে রেখে আসব একই নাম। রুদ্র মরে গিয়েও আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন চিরকাল। সারা দেশের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। যদি ছাত্রসমাজের ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়া না হয়, আমরাও শহীদদের রক্তের ওপর দিয়ে কোনো সংলাপে যাব না।’