মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় সম্পদ, তবে তিনি ক্রিমিনাল কাজ করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট নগরের ধোপাদীঘির পাড় এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেনছবি: প্রথম আলো

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের জাতীয় সম্পদ। তিনি একজন নোবেল বিজয়ী। আমরা তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করি। কিন্তু পৃথিবীতে বহু নোবেলজয়ী লোক আছেন, যাঁরা অন্যায় করেছেন, ক্রিমিনাল কাজ করেছেন, তাঁদের শাস্তি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমাদের নোবেলজয়ী ক্রিমিনাল কাজ করেছেন।’

সিলেট নগরের ধোপাদীঘির পাড় এলাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেটা জানি, উনি উনার লেবারদের (শ্রমিকদের) পয়সা দেননি। ওদের তিনি ঠকাইছেন। সেই জন্য তাঁর বিরুদ্ধে জাজমেন্ট হয়েছে। এইটা কোর্টের ব্যাপার। এইটার জন্য অন্য কোনো ধরনের কিছু হবে বলে আমার...। এইটা একটা প্রচলিত আইনের হিউজ প্রসেস। উনি সুযোগ পেয়েছেন আইনি লড়াই করার। উনি সুযোগ পেয়েছেন যুক্তিতর্কের। তারপর এভিডেন্সের বেসিসে তাঁরা জাজমেন্ট করেছেন। কারণ, প্রত্যেক দেশ আইনকে সম্মান করে। এর ফলে কোনো অসুবিধা হবে বলে আমার মনে হয় না।’

আরও পড়ুন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বিবিসিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিবিসি বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন প্রায়ই দেয়। একসময় তারা বলল যে বাংলাদেশে কোভিডের ফলে তিন কোটি-পাঁচ কোটি লোক মারা যাবে। এত লোক মারা যায় নাই। ওরা একটা বলার জন্য দেয়। মিডিয়া অনেক সময় তো চকমারি কিছু বলে, যাতে অ্যাট্রাকশন হয়। আর বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। ওনারা চকমারি কিছু দিয়েছে। আমার মনে হয় না কোনো রিপোর্টিংয়ের বেসিসে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। বিভিন্ন দেশে শত শত পত্রিকা বের হয়। সব দেশেই সরকার একটা বিচার-বিশ্লেষণ করে তাদের নিজেদের দেশের স্বার্থ ঠিক করে, ভবিষ্যৎ সংকট সম্পর্কে চিন্তা করে, আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ভাবধারা নিয়ে চিন্তা করে। সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক, কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের শত্রুটা নাই। সুতরাং এ ক্ষেত্রে এ ধরনের রিপোর্ট নিয়ে আমরা ওরিড না।’

আরও পড়ুন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যেটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, দেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। এইটা যদি আমরা করতে পারি, ওখানেই আমাদের সাকসেস। আমাদের দেশবাসী যদি এইটাকে গ্রহণযোগ্য মনে করে, সেইটায় আমাদের সাকসেস। অন্য কে কী বলল না বলল...দেশবাসী কী মনে করে, সেটাই সবচেয়ে বেশি ইমপর্ট্যান্ট।’

আরও পড়ুন

প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরে প্রবাসীদের অনেক হয়রানি কমেছে। তবে একেবারে জিরো হয়েছে, সেটি বলা যাবে না। তবে তাঁদের আসা-যাওয়া অনেক সহজ হয়েছে। দুনিয়ার সব বিমানবন্দরে ঝামেলা হয়, বাংলাদেশে একটু বেশি হয়। সেটি ধাপে ধাপে কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।