রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হলের ভবনের একটি অংশ ধসের ঘটনায় নির্মাণপ্রতিষ্ঠানকে আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবনধস কেন ঘটল, তার বিবরণসহ সাইট ইঞ্জিনিয়ার, প্রধান প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পৃথকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ভবনের একাংশ ধসের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্মাণপ্রতিষ্ঠানসহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আলোচনা সভা চলে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এ ছাড়া সভায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকারকে। সদস্য দুজন হলেন গণপূর্ত বিভাগের রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ইমরুল হাসান।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের নির্মাণাধীন ভবনের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক আহত হন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসকের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাটারিং ধসে ৯ শ্রমিক আহত হন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সাতজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাত ৮টার দিকে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপে আর কেউ আটকে নেই বলে ফায়ার সার্ভিস ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করেছে।
সভায় আহত শ্রমিকদের খোরপোষসহ চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া শ্রমিকদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিশ্চিত করাসহ কোনো কিশোর শ্রমিককে ভবন নির্মাণের কাজে ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।