ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান ওরফে নায়ক ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চান ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলবেন তিনি। আজ দুপুরে তিনি প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হিরো আলম বলেন, ‘সদ্য অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। ঢাকা-১৭ আসনে চলচ্চিত্রের মিঞা ভাই সংসদ সদস্য ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি এলাকার তেমন উন্নয়ন করতে পারেননি। হিরো আলমকে সারা দেশের মানুষ ভালোবাসেন। জনগণ চান, সংসদে গিয়ে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করি। উপনির্বাচনে বিজয়ী হলে ৪-৫ মাস এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।’
ঢাকা-১৭ আসনটি গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। রাজধানীর অভিজাত এলাকার ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘৩ লাখ ৩৩ হাজার ভোটারের মধ্যে গুলশান-বনানী এলাকার এলিট শ্রেণির ভোটারের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তা ছাড়া এলিট শ্রেণির মানুষও যে হিরো আলমকে পছন্দ করেন, সেটা ভোটেই প্রমাণ করে দেব।’
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে হারেন তিনি। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসানের কাছে জামানত হারান বগুড়া-৬ আসনে।
বগুড়া-৪ আসনের ওই উপনির্বাচনের ফলাফল কারচুপি করে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন হিরো আলম। ফলাফল ঘোষণার পরপরই সংবাদ সম্মেলন ডেকে হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোট চুরি হয়নি, লজ্জাজনকভাবে ফলাফল চুরি হয়েছে।