নলডাঙ্গায় মুঠোফোন জমা রেখে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে হচ্ছে
ভোটকেন্দ্রের প্রবেশমুখে মুঠোফোন জমা রেখে ভোট দিতে হচ্ছে ভোটারদের। স্থানীয় এক যুবক এসব মুঠোফোন জমা নিচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রামশার কাজীপুর (আমতলী) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার কাজীপুর (আমতলী) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সাদা শার্ট পরা এক যুবকের হাতে ১০ থেকে ১২টি মুঠোফোন। কেন্দ্রের প্রধান ফটকে দাঁড়ানো এই যুবকের আশপাশে অন্তত চারজন আনসার সদস্য দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের কথামতো ভোটাররা তাঁদের মুঠোফোন ওই যুবকের হাতে জমা রাখছেন।
এর কারণ জানতে চাইলে মোমিনুল ইসলাম নামের ওই যুবক বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই মুঠোফোন জমা নেওয়া হচ্ছে। তবে ভোট দেওয়ার পর ভোটাররা নিজ নিজ মুঠোফোন ফেরত নিচ্ছেন।
নির্বাচন প্রশিক্ষণে মুঠোফোন জমা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তাই জমা রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণেই জমা রাখা হচ্ছে। অনেকে ফোন দিয়ে ব্যালট পেপারের ছবি তুলে বাইরে প্রচার করে থাকেন। এতে ভোটের গোপনীয়তা থাকে না।
এই দায়িত্ব তাঁকে কে দিয়েছে, তা জানতে চাইলে মোমিনুল বলেন, ‘আমরা নিজেরাই কাজটি করছি।’ উপস্থিত আনসার সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কোনো নির্দেশনা আছে কি না। তাঁরা বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁরা শুধু ভোটারদের ফোনগুলো রেখে যেতে বলছেন। নিজেরা ফোনের দায়িত্ব নিচ্ছেন না।
তানজির আহমেদ নামের এক ভোটার বলেন, ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে নেই—এমন একজনের কাছে মুঠোফোন রেখে আসতে তাঁর খারাপ লাগছিল। কিন্তু আনসারদের নির্দেশে তিনি ফোন রাখতে বাধ্য হয়েছেন। মুঠোফোন ব্যক্তিগত সম্পদ। এতে গোপনীয়তা রয়েছে। এভাবে মুঠোফোন রাখা ঠিক হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পূবালী ব্যাংক নলডাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, নির্বাচন প্রশিক্ষণে মুঠোফোন জমা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তাই জমা রাখা হচ্ছে। তবে ফোনগুলো আনসারদের কাছে জমা রাখার কথা। এর ব্যতিক্রম হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। কী কারণে জমা করা হচ্ছে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তার কারণেই জমা রাখা হচ্ছে। কী ধরনের নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, অনেকে ফোন দিয়ে ব্যালট পেপারের ছবি তুলে বাইরে প্রচার করে থাকেন। এতে ভোটের গোপনীয়তা থাকে না।