শ্বশুরের মৃত্যুশোক সইতে না পেরে মারা গেলেন পুত্রবধূ

প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তির মৃত্যুর কিছুক্ষণ পরই তাঁর পুত্রবধূও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আজ শনিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে উপজেলার পালশা ইউনিয়নের ওহিওড়া কালিনজিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন

মারা যাওয়া ওই দুজন হলেন সাহেব আলী (৭১) ও ছমিরন বেগম (৪৫)। সাহেব আলী ওই গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে। ছমিরন বেগম সাহেব আলীর ছেলে সানাউল হকের স্ত্রী। মারা যাওয়া দুজন সম্পর্কে শ্বশুর-ছেলের বউ ছাড়াও আপন চাচা-ভাতিজি ছিলেন।

আরও পড়ুন

ওই পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল হক মিন্টু প্রথম আলোকে বলেন, সাহেব আলী দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। আজ সকাল থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিকেল চারটার দিকে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। পাশে বসা ছিলেন ছেলের বউ ছমিরন বেগম। তিনি ‘হায় হায় একি হলো’ বলে বিলাপ করতে করতে অজ্ঞান ও নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানকার চিকিৎসক ছমিরনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পার্থ জ্বীময় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটার সময় ছমিরন বেগমকে মৃত অবস্থায় তাঁর পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনেছিলেন। হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ছমিরন বেগমের মৃত্যু হয়েছে। শুনেছি, বিকেলে তাঁর শ্বশুরের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে তিনি বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।’