রায়পুরায় হামলায় প্রার্থী নিহত হওয়ার পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত

নিহত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া।ছবি সংগৃহীত

নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া নিহত হওয়ার পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার চরাঞ্চল পাড়াতলী ইউনিয়নের মীরেরকান্দি গ্রামে সুমনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় সেখানে জনসংযোগ চালাচ্ছিলেন তিনি। সুমন মিয়া একই উপজেলার চরসুবুদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ইউপি) নাসির উদ্দিনের ছেলে এবং তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, রায়পুরার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাঁরা নির্বাচন স্থগিত-সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে নরসিংদীর নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের চিঠি একটু আগেই হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ (টেলিফোন), জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আলী আহমেদ (কাপ-পিরিচ), পাড়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফেরদৌস কামাল (আনারস)। অন্য দুজনের নাম মোহাম্মদ পনির হোসেন (মোটরসাইকেল) ও সোলায়মান খন্দকার (দোয়াত-কলম)।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থী ছিলেন আবিদ হাসান রুবেল (চশমা), সুমন মিয়া (তালা) ও মো. মারফত আলী (টিয়া পাখি)।