আমাদের কোনো নেতা-কর্মী টুঁ শব্দও করবে না: আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
ফাইল ছবি

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘সকলকে (নেতা-কর্মীকে) অনুরোধ করেছি, গায়ে হাত দিলেও কেউ যাতে পাল্টা জবাব না দেয়। আমাদের কোনো নেতা-কর্মী টুঁ শব্দও করতে করবে না।’ মঙ্গলবার বিকেলে নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকার স্থানীয় একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি শক্তিশালী সংগঠন। প্রত্যেক কেন্দ্র এলাকায় দলের শত শত স্থানীয় নেতা-কর্মী আছে। সেখানে বহিরাগত আনার প্রয়োজন নেই। প্রশ্নই ওঠে না। আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল একটা নির্বাচন চাই। আপনারা (সাংবাদিকেরা) আছেন ১৯০টি কেন্দ্রে। এখানে কী হবে, তা আপনারাই দেখতে পাবেন। এটা মূলত গুরুত্ব বাড়ানোর জন্যই তিনি (জাতীয় পার্টির প্রার্থী) এসব বলছেন।’

আরও পড়ুন

এর আগে সংবাদমাধ্যমে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাঁর এজেন্টদের কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সরকার দলের প্রার্থী বহিরাগত লোকজন আনছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান কোনো প্রার্থীর নাম উচ্চারণ না করলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘মূলত ওনার এজেন্ট–সংকট রয়েছে। তাই আগেই এসব বলা শুরু করেছেন। এটা ভৌতিক বিষয়। কোনো প্রার্থীর এজেন্ট থাকলে তাঁকে যতই হুমকি দেওয়া হোক, সে কেন্দ্রে প্রার্থীর জন্য উপস্থিত হবে। জনগণের টাচ না থাকায় আতঙ্ক এবং অন্য চিন্তাচেতনা থেকে এসব বলেছেন।’

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জানিয়ে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। আমি ১৫ বছর বয়স থেকে দলের রাজনীতিতে যুক্ত। অতীতে এখানে আওয়ামী লীগকে এতটা ঐক্যবদ্ধ দেখিনি। এখানে দলের তরুণ নেতা-কর্মী, জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ প্রত্যেক বাসাবাড়িতে গিয়েছেন। একবার নয়, পাঁচবার করে গিয়েছেন। আমি নিজেও আশ্চর্য হয়ে গেছি, পাঁচতলা-সাততলা বেয়ে ভোটারের বাসায় উঠে দলের বয়স্ক লোকজন ভোট চেয়েছেন। এটাতে আমি খুবই উৎফুল্ল। আওয়ামী লীগ যদি এক হয়, কেউ আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে পারবে না। এবার কিন্তু সিলেটে এটা হয়েছে। মানুষ আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। এটা কিন্তু কাজের ফসল।’