ফেনী নদীতে বালু তোলা নিয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব, পৌর মেয়র গুলিবিদ্ধ

মেয়র রেজাউল করিম বারিয়াহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ঘটনাস্থলে থাকা রেজাউল করিমের লোকজন বলছেন, মিরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নে স্থাপিত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গা ভরাট করতে ফেনী নদীর মিরসরাই অংশ থেকে ড্রেজার নিয়ে বালু তুলতে যান রেজাউল করিম ও তাঁর কিছু লোকজন। তখন ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ফাজিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হকের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করে। এ সময় তাঁরা গুলি করলে মেয়রসহ তিনজন আহত হন।

তবে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বারিয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম আমার ইজারা নেওয়া এলাকায় অবৈধভাবে বালু তুলতে এলে স্থানীয় লোকজন তাড়িয়েছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় আমার কোনো যোগসূত্র নাই। আমি বৈধ ইজারাদার হলেও ওই এলাকায় এখনো একবারের জন্যও যাইনি।’

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর ১২টায় ছররা গুলিবিদ্ধ হয়ে রেজাউল করিম, অশোক সেন ও শাহেদ খান নামের তিন ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে রেজাউল করিমের কোমরের অংশে, অশোক সেনের শরীরের কয়েকটি স্থানে ছররা গুলির আঘাত আছে। অশোক সেনের বাঁ হাতের কবজিতে ভাঙার মতো পেয়েছেন। সাহেদ খান সামান্য আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুর হোসেন মামুন বলেন, ফেনী নদীতে বালু তোলার জেরে বারিয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিমসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছেন। এর মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ তাঁরা পাননি।