গোয়ালন্দে পদ্মার এক ইলিশ বিক্রি হলো ১০ হাজার টাকায়
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে ধরা পড়া আড়াই কেজি ওজনের একটি ইলিশ প্রায় ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ৩ হাজার ৮৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৯ হাজার ৯০০ টাকায় ঢাকার এক ব্যবসায়ী মাছটি কিনে নেন। এর আগে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের জেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে জাহাঙ্গীর হোসেন গোয়ালন্দ উপজেলার সীমান্তবর্তী উজানচর ইউনিয়নের দেবীপুর চর এলাকায় পদ্মা নদীতে কারেন্ট জাল ফেলেন। সকাল ১০টার দিকে জাল টেনে নৌকায় তোলার পর দেখতে পান, বড় একটি ইলিশ ধরা পড়েছে। বহুদিন পর জালে এমন একটি বড় ইলিশ দেখে তিনি বেশ খুশি হন। পরে মাছটি বিক্রির জন্য তিনি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নিয়ে আসেন। এ সময় ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ মাছটি কিনে নেন। পরে শাহজাহান শেখ আবার মাছটি ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
শাহজাহান শেখ বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলে জাহাঙ্গীর একটি বড় ইলিশ বিক্রির জন্য আনেন। এ সময় মাছটি প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে তিনি ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে মোট ৯ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন। এর কিছু সময় পরই ফেরিঘাট দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এক ব্যবসায়ী ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পরে ওই ব্যবসায়ী ৩ হাজার ৮৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৯ হাজার ৯০০ টাকায় কেনেন।
দীর্ঘদিন পর পদ্মা নদীতে এত বড় ইলিশের দেখা মিলল জানিয়ে শাহজাহান শেখ বলেন, ‘নদীতে বর্তমানে মাছ না পাওয়ায় জেলেরা হতাশ হচ্ছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী হিসেবে আমরাও হতাশ হচ্ছি। তবে জেলে জাহাঙ্গীরের কারেন্ট জালে এত বড় ইলিশ পাওয়ায় তিনি যেমন খুশি, তেমনটি ব্যবসায়ী হিসেবে আমরাও অনেক আনন্দিত।’
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার জামান বলেন, পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় এবং ডুবোচর জেগে ওঠায় এখন ভালো কোনো মাছের দেখা মিলছে না বললেই চলে। পানির গভীরতা না থাকায় এবং নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ইলিশ ধরা পড়ছে না। কিছুদিন আগে প্রায় পৌনে তিন কেজি ওজনের একটি ইলিশ ধরা পড়েছিল। আজ অনেক দিন পর এত বড় ইলিশ ধরা পড়া অবশ্যই জেলেদের জন্য সুসংবাদ। পানির গভীরতা থাকলে মাঝেমধ্যে বড় বড় ইলিশের দেখা মিলত বলে মনে করেন তিনি।