টঙ্গী বিসিকে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ, ঠেকাতে সড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীরা

গাজীপুরের টঙ্গী বিসিকের পানির ট্যাংকি এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবস্থান। আজ বুধবার বেলা একটায় তোলাছবি: আল-আমিন

গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকায় কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রত্যাশী কিছু নারী ও পুরুষ। দাবি আদায়ে তাঁরা সড়ক অবরোধ, বিভিন্ন কারখানায় ভাঙচুরসহ নানা বিশৃঙ্খলায় জড়িয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকালেও বিসিক শিল্প এলাকায় জড়ো হন কিছু চাকরিপ্রত্যাশী। তাঁদের ঠেকাতে সেখানে আসেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে পিছু হটেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।

টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকা ‘গার্মেন্টস পল্লি’ হিসেবে পরিচিত। এখানে শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও এর আনুষঙ্গিক শিল্পকারখানা রয়েছে; কাজ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। আজ সকাল থেকে বিসিকের পানির ট্যাংকি এলাকায় জড়ো হন কিছু নারী ও পুরুষ। তাঁরা চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন। পাশাপাশি তাঁরা এই কর্মসূচিতে আশপাশের কারখানার শ্রমিকদের যোগ দিতে আহ্বান জানাচ্ছিলেন। তবে কারখানার শ্রমিকেরা সেখানে যাননি। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা কারখানা ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন বিএনপির এক শ থেকে দেড় শ জন নেতা-কর্মী। তাঁদের দেখে আন্দোলনকারীরা চলে যান। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখানেই অবস্থান নেন।

বেলা একটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, বিসিক এলাকায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। কোথাও কোনো বিক্ষোভ নেই। পানির ট্যাংকি এলাকায় অবস্থান করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি এক ব্যানার টানানো। এতে লেখা রয়েছে, ‘শিল্প কলকারখানা ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ।’

আরও পড়ুন

সেখানে কথা হয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম গাজীপুরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাকরি দাবি করার আড়ালে শেখ হাসিনা ও আওয়ামীপন্থী লোকজন দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিসিকের গুরুত্বপূর্ণ কারখানাগুলো ভাঙচুর করে লুটপাটের চেষ্টা করা হচ্ছে। নানা অজুহাতে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। তাই আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। যত দিন বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকবে, আমরা তত দিন সড়কে থাকব।’

আরও পড়ুন