কুয়াকাটায় চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দ্বিতীয় দিনে অভিযানে বাধা
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত লাগোয়া সড়কের দুই পাশ থেকে চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গেলে স্থানীয় মানুষের বাঁধার মুখে পড়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এ সময় অবৈধ দখলদারদের হামলায় বুলডোজার চালক মো. এনামুল হক (২৮) আহত হয়। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে দিকে সৈকতে স্থানীয় লোকজন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার জন্য মিছিল করে। পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয় মানুষদের কয়েকজন জানান, অবৈধ দখলদাররা প্রশাসনের ওপর চড়াও হয়, উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহৃত বুলডোজারের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং চালক এনামুলকে মারধর করে আহত করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করে। এর আগে আইনি নোটিশ ও মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও দখলদাররা অনেকে সরিয়ে নেয়নি।
কলপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক কৌশিক আহমেদ বলেন, সৈকতের সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা ফেরাতে মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়। দুই দিনে চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে দখলদাররা তাঁদের স্থাপনা সরিয়ে না নিলে ১ ডিসেম্বর থেকে আবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উচ্ছেদ করা অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে খাবার হোটেল, আবাসিক হোটেল, চা-পানের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কুয়াকাটা টুরিজম পার্কসংলগ্ন দ্বিতীয় দিনের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় মানুষ সরকারি কাজে বাঁধা দেন। লাঠি দিয়ে বুলডোজার পিটিয়ে গ্লাস ভেঙে ফেলে ড্রাইভারকে মারধরের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারি কাজে যাঁরা বাঁধার সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এ নিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।