কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কথা জানিয়ে সরে দাঁড়ালেন হবিগঞ্জ-২ আসনের জাপার প্রার্থী
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী শংকর পাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দোষারোপ করে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
জাপার প্রার্থী শংকর পালের ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কারণ পরিষ্কার করেছেন। ভিডিও বার্তায় শংকর পাল বলেন, তিনি নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এমনকি তাঁরা কোনো খোঁজখবরও নিচ্ছেন না। যে কারণে অনিশ্চিত এই নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন।
শংকর পাল আরও বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ দলীয়ভাবে অনেক জায়গার প্রার্থীকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যেমন দেশের ২৬টি আসন নিয়ে সরকারের সাথে জাপার সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি দল থেকে অবহিত করা হয়নি। আমরা কিছুই জানি না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত প্রার্থী ও দলের প্রধানের ছবি ব্যবহার করার। কিন্তু অনেকেই পোস্টারে জাতীয় পার্টি মনোনীত, আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থী লিখেছেন। অনেকে দলীয় প্রধানের ছবি ছাড়াও অন্য দলের প্রধানের ছবি ব্যবহার করেছেন। এটি নির্বাচন পরিপন্থী।’
ভিডিও বার্তায় শংকর পাল বলেন, ‘আমি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমার জায়গায় অন্য একজনকে সমর্থন দিয়েছে জাপা। কিন্তু দেখা যায় নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের আগের দিন আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। দল ও সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করি। এদিকে নির্বাচন চলে আসছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকনির্দেশনা নেই। যে কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শংকর পাল জাপার কেন্ত্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভিডিও বার্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দলের নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা থাকায় তিনি এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
হবিগঞ্জ-২ আসনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শংকর পাল ছাড়াও অন্য প্রার্থীরা হলেন ময়েজ উদ্দিন শরীফ (আওয়ামী লীগ), আবদুল মজিদ খান (স্বতন্ত্র), এস এ এম সোহাগ (বিএনএম), মনমোহন দেবনাথ (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), খায়রুল আলম (তৃণমূল বিএনপি), মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. জিয়াউর রশিদ (বাংলাদেশ কংগ্রেস) ও শেখ হিফজুর রহমান (ইসলামী ঐক্যজোট)।
এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধায় একইভাবে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ। এ নিয়ে হবিগঞ্জে দুজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন।