হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসে তাঁর নির্দেশ হলো, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন চিকিৎসকেরা থাকেন না, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের সবার কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে অনেককে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতিমধ্যে ২১ জন ডাক্তারকে পদায়ন করা হয়েছে। আমি খেয়াল রাখব তাঁরা আসেন কি না। না আসলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চিকিৎসক সংকট এক দিনের সমস্যা নয় মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটি বহু দিনের সমস্যা। স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য শয্যা খালি রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে অপারেশনগুলো পরে করলে হবে, সেগুলো পরে করার জন্য বলা হয়েছে।
গোপালগঞ্জে এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। কিছুদিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত সময়ে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হবে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব, তত তাড়াতাড়ি দেশের বাইরেও রপ্তানি করতে পারব। এটি বাংলাদেশের একটি যুগান্তকারী প্ল্যান্ট হবে।’
এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এরপর তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।