যশোরে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সাপের কামড়ে কিশোরের মৃত্যু
যশোরের শার্শা উপজেলায় ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সাপের কামড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বেলতা গ্রামে সাপটি কামড় দেয়। পরে রাত ৯টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারা যাওয়া কিশোরের নাম আবদুল্লাহ (১৪)। সে শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের টেংরালী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। আবদুল্লাহ যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাঁদপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও টেংরালী গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম বলেন, আবদুল্লাহ গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার বেলতা গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। দুপুরে ফুফুর বাড়ির আঙিনায় স্তূপ করা ইটের পাশে কয়েকটি শিশুর সঙ্গে খেলছিল আবদুল্লাহ। এ সময় ইটের স্তূপের ভেতরে থাকা একটি ছোট সাপ তার ডান হাতের তর্জনিতে কামড় দেয়। পরে সবাই মিলে সাপটি মেরে ফেলে। বেলা তিনটার দিকে নিজের বাড়িতে ফিরে মা-বাবাকে বিষয়টি জানায় আবদুল্লাহ। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. শাকিরুল ইসলাম বলেন, আবদুল্লাহর হাতের আঙুলে সাপের কামড়ের ক্ষত ছিল। প্রথম ধাপে হাসপাতালে না এনে বাড়িতে রাখায় শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে আনার আগেই আবদুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ আছে। কাউকে সাপে কামড়ালে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হয়। এতে জীবন রক্ষার সুযোগ থাকে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইটের স্তূপের পাশে খেলার সময় সাপের কামড়ে মাদ্রাসাছাত্র আবদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।